বাইডেনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায় ট্রাম্প আমলের শত্রুরাও

বাইডেনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায় ট্রাম্প আমলের শত্রুরাও

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইরানসহ অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়ায় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়।

তবে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা নেয়ার পর সেই শত্রু দেশগুলোই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আশাবাদী। তবে এজন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে বলে জানিয়েছে ইরান।

১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশ ক্ষমতায় থাকার সময়ে। কিন্তু ২০১২ সালে বারাক ওবামা ক্ষমতা গ্রহণের পর দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।

২০১৫ সালে সম্পদিত হয় ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে আবারো অবরোধ আরোপ করা হয়।

তবে জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর আশাবাদী সাধারণ ইরানিরা। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা খুব দ্রুত প্রত্যাহার করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।

‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন আবারো পরামাণু চুক্তিতে ফিরবেন এটাই আশা করি। আমাদের বিশ্বাস তিনি আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবেন।’

‘আমার মনে হয়, পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নতি হবে। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার আমার মতো সব ইরানিরাই আশা নিয়ে অপেক্ষা করছে।’

তবে বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের পরও ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোন পরিবর্তন হবে না বলে শঙ্কা অনেক ইরানির।

‘ইরান বিরোধীতাই হলো যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ নীতি। এখানে ট্রাম্প প্রশাসন কিংবা বাইডেন প্রশাসনের কোন তফাত হবে বলে আমার মনে হয় না।’

সাধারণ ইরানিরা যা-ই ভাবুক না কেন, নিজেদের স্বার্থের বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তবে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ লুফে নিতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

হাসান রুহানি বলেন, আল্লাহ’র কৃপায় ট্রাম্প বিদায় নিয়েছেন। তার বিদায় ছিল লজ্জাজনক। তিনি ইরানিদের বিরুদ্ধে কেবল ষড়যন্ত্রই করেছিলেন। আশা করি বর্তমান প্রশাসন খুব দ্রুতই তাদের ভুল শুধরে নিবেন।

ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তবে এ জন্য অবশ্যই ইরানকে পরমাণু চুক্তির সব শর্ত মেনে চলতে হবে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি।

জেন সাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সব দেশের সাথেই সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। ইরানের পরমাণু ইস্যুতে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেগুলো সমাধান করা তাদেরই দায়িত্ব। এ বিষয়ে মিত্রদের সাথে আলোচনা করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রথম আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন